সংবাদ শিরোনাম :
স্বৈরাচারের পতনের ১মাস অতিবাহিত হলেও নৌসেক্টর ধ্বংসকারীরা এখনো বহাল তবিয়তে।

স্বৈরাচারের পতনের ১মাস অতিবাহিত হলেও নৌসেক্টর ধ্বংসকারীরা এখনো বহাল তবিয়তে।

আতিকুল ইসলাম টিটু স্টাফ রিপোর্টার

স্বৈরশাসনের শেষ ২ বছরে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ. সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ. জ. ম. নাসিরদের নেতৃত্বে নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠান গুলো যথা- বাসুদেব ব্যানার্জি পরিচালিত এমটিএস মেরিন সার্ভিস, আজিজুর রহমানের সমতা ও আজিজ এন্টারপ্রাইজ, ড. হাসান মাহমুদের ভাই খালেদ মাহমুদের বিসমিল্লাহ মেরিন, জনাব পারভেজ-এর মর্ডাণ লজিস্টিক, আবু বক্কর-এর মালিকানাধীন টি.এস শিপিং, আ. জ. ম. নাসির ও জয়াশিষ বাবুর যৌথ মালিকানার ফনিক্স মেরিন, হাজী সেলিমের বিসমিল্লাহ নেভিগেশন, জনাব পলাশের মাদার শিপিং, শেখ জাহাঙ্গীরের শেখ এন্টারপ্রাইজ ও এএনজে, হাজী সফির কাদেরিয়া এন্টারপ্রাইজ ও জনাব সিদ্দিকের হামদিয়া এন্টারপ্রাইজ-এর সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিরিয়াল প্রথাকে অকার্যকর করে একতরফা পণ্য পরিবহন করে শত শত সাধারণ জাহাজ মালিককে ব্যবসায়ীক লোকসানের মধ্যে ফেলে দিয়ে পুরো নৌপরিবহন শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান সমুহের নিজস্ব পরিচালনার লাইটার জাহাজগুলি প্রতি মাসে ৩/৪টি ট্রিপ করলেও সাধারণ জাহাজ মালিকদের ২ মাসে ১ট্রিপ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এই চক্র পণ্যের এজেন্ট থেকে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করে সাধারণ জাহাজ মালিকদেরকে অর্ধেক ভাড়ায় মাল পরিবহনে বাধ্য করছে। যাহার ফলে লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে গত ১ বছরে কয়েক শত জাহাজ স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করায় কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। শত শত জাহাজের শ্রমিকরা ৪/৫ মাস পর্যন্ত বেতন ভাতা না পেয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে। আমাদের দাবির মুখে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে সমতা বিধানের লক্ষ্যে অনেকগুলো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাঁধার কারনে তা কার্যকর করা সম্ভব হয় নাই। মোংলা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহনে একচেটিয়াভাবে শেখ পরিবারের নামে শেখ সোহেলের নেতৃত্বে ইস্টার্ণ ক্যারিয়ার ও মোহাম্মদিয়া ট্রেডিং-কর্তৃক একতরফা পণ্য প্রত্যাহারের ফলে সাধারণ জাহাজ মালিকদের পথে বসিয়ে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ১ মাস অতিবাহিত হলেও উল্লেখিত সিন্ডিকেটগুলো পূর্বের মতোই বাঁধাহীন ভাবে তাদের অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। এখনো খুলনা অঞ্চলের শ্রমিকরা ২০২২ সালে সরকার ঘোষিত গেজেট মোতাবেক বেতন পায় নাই। উপরোক্ত অবস্থায় নৌশ্রমিকদের বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইতিপূর্বে সরকারের পক্ষ থেকে নৌশিল্প ও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি মিথ্যা আশ্বাসে পরিণত হয়েছে।

Facebook Comments Box





© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক নাগরিক বাণী